ঢাকা,মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

মাটি ব্যবসায়ীদের নৈরাজ্য, প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা

চকরিয়ায় মহাসড়কে মাটি পড়ে যানবাহন চলাচল মারাত্মক ঝুঁকিতে

ছোটন কান্তি নাথ, চকরিয়া ::
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার দুটি আঞ্চলিক মহাসড়ক মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর কারণ অনুসন্ধান করে জানা গেছে, ফসলি জমির পলিমাটি কেটে ট্রাকে পরিবহনের সময় সড়কের ওপর পড়ছে। অন্যদিকে লবণ পরিবহনের সময় ট্রাক থেকে নিঃসৃত হচ্ছে পানি। ফলে পিচ্ছিল সড়কে ঘটছে দুর্ঘটনা।

সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপকূলীয় চকরিয়া-বদরখালী-মহেশখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক এবং আনোয়ারা-বাঁশখালী-চকরিয়া (এবিসি) আঞ্চলিক মহাসড়কের চকরিয়া অংশে দীর্ঘদিন ধরে এই নৈরাজ্য চলছে। বদরখালী সড়কের সাহারবিল থেকে পশ্চিম বড় ভেওলা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এবং এবিসি সড়কের লালব্রিজ থেকে পেকুয়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারে প্রলেপ পড়ে গেছে। এই দুই সড়কে যাতায়াতকারী চালক ও যাত্রীরা জানান, এসব নৈরাজ্য বন্ধে সরকারের কোনো সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের একেবারে নজরদারি নেই। যে যার ইচ্ছামতো সড়কের ওপর দিয়ে মাটি পরিবহন করে যাচ্ছে। এই অবস্থায় বর্ষাকাল এলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেবে।

লালব্রিজ স্টেশন এলাকার ব্যবসায়ী কলিম উল্লাহ ও মোহাম্মদ সাকের জানান, সম্প্রতি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার পর মারাত্মকভাবে পিচ্ছিল হয়ে ওঠে সড়ক। এতে যাত্রীবাহী বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করতে গিয়ে প্রতিবন্ধকতার সম্মুখিন হয়, এমনকি যাত্রীবাহী একটি বাস সড়ক থেকে অপেক্ষাকৃত সামান্য উঁচু সেতুর ওপর উঠতে গিয়ে কাদাঁয় আটকে যায়।

এ বিষয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেপি দেওয়ান চকরিয়া নিউজকে বলেন, ‘ব্যস্ততম আঞ্চলিক মহাসড়ক দুটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। যারা কৃষিজমির টপসয়েল কাটে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি পরিবহনের কারণে লবণ পানি ও পলি মাটি পড়ে সড়ক দুটির বিশাল অংশ ঢাকা পড়া রোধে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে। ’

পাঠকের মতামত: